ইসলামের আলোকে জীবন
ইসলামের আলোকে জীবন |
সার্থক ও সুন্দর জীবন পরিচালনা করার জন্য আমাদের সকলকে ইসলামের বিধি বিধান অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে হবে। ইসলাম জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকল শ্রেনির মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের যে মানদন্ড নির্ধারন করে দিয়েছে তা প্রতিষ্ঠিত ও অবিচল রাখার জন্য আল্লাহ তায়া’লা এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মানুষের অধিকার ও মর্যাদার ভিত্তিতে বিধি বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ইসলামের মানবাধিকারের প্রথম মূলনীতিই হলো একে অপরের কল্যান কামনা করা। অন্যের কল্যান কামনা করাই হলো দ্বীন। অন্যের কল্যান কামনার অর্থই হচ্ছে, মানুষ নিজের জন্যে যা কিছু উওম মনে করবে,অন্যের ক্ষেতেও তাই মনে করবে।
কারো প্রতি কটুক্তি না করাঃ
একে অপরকে গালাগালি দেয়া, কারো প্রতি কটুক্তি করা,কাউকে বিকৃত নামে ডাকা সম্পূর্ণ হারাম। মহানবী (সাঃ) এ ধরনের লোকদের সম্পর্কে বলেন,কোন কটুভাষী ও খারাপ স্বভাব সম্পন্ন মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।পরনিন্দা বা গীবত না করাঃ
কারো অনুপস্থিততে তার দোষ বর্ননা করা,বদনাম করা,তার সম্পর্কে খারাপ ধারনা দেয়া ইত্যাদির নামই গীবত বা পরচর্চা। আল্লাহ তায়া’লা বলেন,কেউ কারো গীবত করো না। কেউ কি তোমরা আপন ভাইয়ের গোস্ত খাওয়া পছন্দ করবে? একে তো তোমরা অবশ্যই ঘৃণা করবে।আমাদের সকল কে পরনিন্দা বা গীবতকারীদের থেকে বিরত থাকতে হবে।
জিহব্বার সদ্ব্যবহারঃ
আল্লাহ তায়া’লা কথা বলার জন্যে জিহ্বা দান করেছেন এবং এ অঙ্গটিতে কোন হাড় নেই। অর্থাৎ জিব্হা অত্যন্ত নরম এবং অঙ্গটি দিয়ে অন্যের সাথে কোমল কথা বলাই জিব্হার দাবী। এক লোক নবীর কাছে প্রশ্ন করলো, নিজের ব্যাপারে কোন জিনিটি সবচেয়ে বেশি ভয় করবো? মহানবী সাঃ নিজের জিব্হা ধরে বললেল 'একে'। অর্থাৎ জিব্হাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করতে হবে তথা জিব্হার সদ্ব্যবহার করতে হবে।সকলের সাথে সদাচরন করাঃ
শত্রু মিত্র যেই হোক না কেনো,সকলের সাথেই সদাচরন করাই নবীর নির্দেশ এবং এটাই মানবতার দাবী।মন্দের জবাব মন্দ দিযে দেয়া যাবে না। মন্দের জবাব দিতে হবে সর্বোত্তম সুন্দর আচরনের মাধ্যমে।