প্রিয় পাঠকগণ, আসসালামু আলাইকু। দুধের উপকারিতা ও পুষ্টি গুনাগুন পোস্টে আপনাদের স্বাগতম।
"পুষ্টি বিষয়ে সচেতন হলে,
মেধাবী জাতি উঠবে গড়ে।"
দুধ খাওয়ার উপকারিতা
১। দুধ ক্যালসিয়ামের সব চাইতে ভালো উৎস। ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠন মজবুত করে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি এর সাহায্যে আমাদের হাড় ও দাঁতে শোষিত হয়ে হাড় ও দাঁতের গড়ন দৃঢ় করে এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। বাচ্চাদের ছোটকাল থেকেই দুধ পানের অভ্যাস করানো উচিৎ। এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই অভ্যাসটি অপরিবর্তিত থাকলে দেহে বার্ধক্যও আসবে দেরিতে।
২। কর্মব্যস্ততার পর ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস গরম দুধ খুবই উপকারী। গরম দুধ ক্লান্ত পেশি সতেজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া, দুধ খেলে শরীরে মেলটনিন ও ট্রাইপটোফ্যান হরমোন নিঃসৃত হয়, এই হরমোনগুলো ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
৩। দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা মানুষের মাংশপেশির গঠনে এবং মজবুত রাখতে অনেক বেশি সহায়তা করে থাকে। দুধ মাংশপেশির আড়ষ্টতা দূর করতে সক্ষম।
৪। দুধে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের হৃদপিণ্ডের পেশির সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া এর খনিজ উপাদান হৃদপিণ্ড সতেজ রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও করতে সক্ষম।
৫। দুধে আছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা চুলের জন্য খুব উপকারী।আমাদের চুলকে ভালো রাখতে খুব ভালো কাজ করে থাকে।
৬। প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধ পান করলে আজেবাজে খাবারের চাহিদা কমে। এতে করে ওজনও কমে যায়।
৭। যারা পাকস্থলীর আলসার তথা গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগী, তাদেরও দুধ খাওয়া উচিত নয়। এ ধরনের সমস্যা যাদের মধ্যে রয়েছে তারা খেলে পেট ব্যথা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
৮। যারা প্যানক্রিয়েটিটিস (Pancreatitis) বা অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ রোগে আক্রান্ত, তাদের উচিত দুধ না-খাওয়া। দুধে স্নেহজাতীয় পদার্থ আছে। এ ধরনের উপাদান হজমের জন্য পিত্ত ও অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত এনজাইম প্রয়োজন হয়। যদি অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি দুধ খান, তবে তার অসুস্থতা বেড়ে যাবে।
৯.ত্বকের যত্নে দুধ আমাদের কার্যকর ভূমিকা রাখে। অল্প বয়সেই অনেকের ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা দেয় এবং ত্বক ঝুলে যায়, খসখসে হয়ে যায়। দুধের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি১২ ও অন্যান্য উপাদান ত্বককে সুন্দর স্বাস্থ্যকর, নরম ও তরতাজা,সতেজ রাখতে সহায়তা করে। তাই রোজ রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস করে দুধ পান করাই ভালো
৯। এলার্জি থাকলে, দুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান হোন। কারণ, এলার্জির রোগীদের দুধ খেতে নিষেধ করেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। দুধ আপনার এলার্জি বাড়িয়ে দিতে পারে। এলার্জির রোগী দুধ খেলে তার পেট ব্যথা ও ডায়রিয়াও হতে পারে। তা ছাড়া, অন্ত্র ফুটো হয়ে রক্তপাতও হতে পারে।
শেষ কথা:
প্রতিদিন খাবার তালিকায় মাত্র এক গ্লাস দুধ আমাদের দেহের যতোটা উপকার করে তা অন্য কোনো খাবার করতে পারে না। এই কারনেই দুধকে বলা হয় সর্বগুণ সম্পন্ন খাবার অর্থাৎ ‘সুপারফুড’।