১.সূরা কদরের তাফসীর পড়ে, বা সংক্রান্ত আলোচনা শুনে, মহিমা মণ্ডিত লাইলাতুল কদরের ফজিলত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। এতে করে শেষ দশকের বেজোড় রাত গুলোতে বেশি বেশি ইবাদত করার স্পৃহা জাগবে।
২.কদরের রাত পেতে শুধু 27 রমজানের অপেক্ষায় বসে থাকবেন না। লাইলাতুল কদর এর অন্বেষণে শেষ দশকের সবগুলো বেজোড় রাত হবে একজন স্মার্ট মুমিনের সেরা টার্গেট।
3. শেষ দশক আসার আগে থেকেই আন্তরিকভাবে আমল করার শারীরিক ও মানসিক দৃঢ় প্রস্তুতি নিন। নিজের সেরাটা দিয়ে প্রতিটি রাত্র কে তার পূর্বের রাত্র থেকে আরও বেশী আমলে সাজিয়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন।
4. আমল করার তাড়নায় বেদাতের আশ্রয় নেবেন না। সুন্নাহ সমর্থিত আমল গুলোই আমাদের নাজাতের মাধ্যম।
5. মসজিদ কিংবা বাড়িতে নির্বিঘ্নে এবাদত করার উপযোগী ভাল একটা পজিশন সিলেক্ট করুন। আর প্রয়োজনীয় আইটেম যেমন: জায়নামাজ, কুরআন মাজীদ, পানির বোতল ইত্যাদি হাতের কাছে রাখুন। যাতে করে বারবার ইবাদত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে না হয়।
৭. ভাগ্য রজনী রজনীতে ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার পাশাপাশি, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও সর্বোপরি বিশ্বজুড়ে মজলুম মুসলিম উম্মার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতে ভুলবেন না। মহান আল্লাহর নিকট মহিমামণ্ডিত এই রাতে মনের সকল আবেদনগুলো গুছিয়ে পেশ করতে দোয়ার একটি চেক লিস্ট বানিয়ে নিতে পারেন।
৮. বিশেষ করে এই রাতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদেরকে ইবাদতের জন্য জাগিয়ে দিতেন। তাই বেজোড় রাতগুলোতে ইবাদতের জন্য নিজ পরিবারের সদস্যদের কে বিশেষভাবে তাগিদ দিতে ভুলবেন না। পাশাপাশি ছোট্ট শিশুদের কেউ এই রাতে এবাদতের জন্যে যথাসাধ্য অনুপ্রেরণা দিন।
৯. বেশি বেশি সাদকা করুন। প্রকাশ্য এবাদত এর পাশাপাশি একান্ত গোপনে এমন কিছু আমল করুন যা আপনার ও আপনার রবের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবে।